গিয়েছিনু সেদিন গাঁয়ের পাশ দিয়ে ধাবমান
কংস নদীর শোভা আহরণের পুরানো সেই স্থান।
সেথা দেখিনু দু'চোখ ভরে,
অনেক স্মৃতির সাক্ষী গেছে মরে।
ভাঙ্গা-গড়া নদীর খেলায় টিকে নি আর কেউ,
দু'কূলেতে বিরাজমান ভাসা ভাসা ঢেউ।
তারি এক কোণে
উঁচু এক স্থানে;
গোছা গোছা সারি সারি কাশবনে,
সাদা সাদা কাশফুল ভরা বাগানে।
শরৎ বুঝি ডাকিছে,
ভাবি আনমনে।
সহসা মৃদু বাতাসের দোলে,
ঢেউ খেলে গেনু ফুলে ফুলে।
বিমুগ্ধ কবিমন হারানু কখন!
তাল পড়ার শব্দে ফিরিনু চেতন।


ভরা নদীতে চঞ্চল বেগে নৌকা চলে পাল তোলে,
ঢেউগুলো দু'ভাগে মেতে উঠে চর চর শব্দে।
দু'পাড়ের বাড়িগুলো ভাঙ্গে ভাঙ্গে বন্যায়,
নদী পাড়ের মানুষগুলো নিরুপায়।
ছুটে চলে হরদম নৌকায়,
জীবীকার তাগিদে অসহায়।
তব অসীম সাহস বুকে বেধেঁ,
জয়ী হয় জীবন যুদ্ধে বাঁচার তাগিদে।
ভাবিতে ভাবিতে কখন ঘনিল সন্ধ্যা,
পশ্চিম হতে বহিনু পবন মৃদু মন্দা।
এক ঝাঁটা ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি জড়াল গাঁয়,
অস্তমিত সূর্যের আভায় অন্তরে সুখ জাগায়।


পরিষ্কার গগনে শুভ্র মেঘমালা যায় উড়ে উড়ে,
এ দৃশ্য দেখে দেখে আসিনু বাড়ি ফিরে।
উর্দ্ধ পানে দেখিনু কত তারায় তারায় খেলা,
এরই মধ্যে শেষ হইনু মোর ঋতু রাণীর বেলা।
                           @@@
রচনাকালঃ ০৮/০৮/২০১৭ইং, মঙ্গলবার, নিজবাড়ী।