তোমাদের পৃথিবীতে আজ কিসের মিছিল ;
কিসের এতো আয়োজন, এ কোন উৎসব ?


নয় কোনো গলিতলাশ বহনের মিছিল
তবুও মৃতের গন্ধের মতন আতরের
ঘ্রাণে ঘ্রাণে বাতাস হয়েছে ভারী
সব অলিগলি করতেছে মউ-মউ !


কিসের মিছিল এতো, এটা কোন উৎসব ?
আমি যে পারি না পারছি না মিশে যেতে
তোমাদের এ মিছিলে উৎসবে কেনো ?
এটা কিসের মিছিল , এটা কোন উৎসব


দেখো চেয়ে একদল মানুষ ছুটছে
মুখে পবিত্র বাণীর উচ্চারণ
শরীরে জড়ানো বাহারী পোষাক
আতোরের স্বর্গীয় সুবাস মাখা ;
তাদেরই পাশাপাশি আর একদল
গতোরে জড়ানো ছেঁড়া ফাঁড়া কাপড় ,
কুঁজো দেহ নুলা ভাঙ্গা পা চোখহীন
গর্তে পিচুটি , অপুষ্ট হাতে ভাঙা
ফুটো থালা ; কন্ঠে ঝরছে নমিত মিনতি !
বল – এ কিসের মিছিল ক্যামন মিছিল ;
আমি যে পারিনা মিছিলে সামিল হতে !


মৃতের গন্ধের মত আতরের ঘ্রাণে
ভারী হয়ে আসা বাতাসে আমার দম
বন্ধ হয়ে আসছে ; বুকের ভিতরে এক
প্রচন্ড যন্ত্রণা এখন আমার – যেন এক সঙ্গে
অসংখ্য অনেক বৃশ্চিক দংশনের
ভয়াবহ নীল ভয়াবহ নীল যন্ত্রণা !


তোমাদের এ মিছিলে, তোমাদের এই উৎসবে ,
তোমাদের জন্য দুই হাতে শান্তির পায়রা
উড়াব বলে হাতের ভিতরে নরম দশটি
আঙুলে জড়িয়ে রেখেছিলাম যত শ্বেত
কপোত – কপোতী  ওরা সব গুলো যেন
এখন এক একটা শকুন – শকুনী হয়ে গেছে
খুবলে খুবলে খেতে চায় আমার চেতনা,
বিশ্বাস , পবিত্রতম বিশ্বাস, হিম মাংস !


তোমাদের জন্য শান্তির পারাবত
উড়ানো সম্ভব হবে না হয়তো কখনও আর !


কোন নর্দমায় নয় সচ্ছ সরোবরে
যেখানে পূর্নিমাচাঁদ আর মৃনালিনী
খেলা করে সেখানে যে এখন আমার
প্রসাব করতে ভীষণ ইচ্ছে করছে !!