কয়লার গুদামে কাজ করে দিনশেষে
ঝুপড়িতে ফিরে কিম্ভূতকিমাকার স্বামী
বউ আগের মতন আঁতকে ওঠে না
অভ্যাস্ত হাতে এগিয়ে দেয় গামছা লুঙ্গী
আর তোলাপানি।
অল্প পানি দিয়ে ঘষেমেজে সাফসতুর হয়ে
খুপরিতে ঢুকে স্বোয়ামী মানিক।
বড়বাড়ীর ঝিয়ের কাজ করে বউ,
দয়ালু গৃহকর্তী এক বাটি ভাততরকারি
তুলে দেয় ঝিয়ের হাতে পুটলি বেঁধে।
টিমটিমে কুপির আলোয়ে স্বামীস্ত্রী দুজনে
খেয়ে নেয় তাই।
মেঘের ফাঁকে উঁকি দেয়া চাঁদের মত
ছেঁড়া শাড়ীর ফাঁক গলে বউর বুকের
সাদা একদলা মাংস দেখে নেয় স্বামী;
কাতর স্বগোক্তি তার-
‘ গরিবের আবার আব্রু বেআব্রু’!
তেল চিটচিটে বালিশে মাথা রেখে চোখ বুজে
মানিক, মহুয়া হাতপাখা নেড়ে নেড়ে বাতাস দিচ্ছে
একটা সময় মহুয়া ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে
মাথা রেখে স্বামীর বুকে ঘুমে ঢলে পড়ে
বুকে তার চাপা কষ্ট পোয়াতি হবে কবে...
মানিক তার বউয়ের কষ্টটা বুঝতে পারে
মাথায় হাত দিয়ে আদর করে বলে-
‘আগে কর্জের টাকাটা পরিশোধ হোক
তারপর...’