এক সোনালী বিকেলে
ম্রিয়মান সূর্য দিগন্তে ছড়ালে গোধূলির রঙ
আকাশের টুকরো টুকরো মেঘেরা সব
বিষণ্ণ বিধুরতায় হয়ে ওঠে এক বিবর্ণ বিস্ময়;
কাতর ক্লান্তিতে পণ্য বেসাতির ভিড় থেকে
নিজেকে গুটায়ে নিলাম !

এক নির্বোধ দুর্বার আকর্ষণে
নিষিদ্ধ ফলের মত এক বিস্ময়ের ঘোরে
আঁকাবাঁকা বিবর্ণ জলের স্রোত পার হয়ে
দাঁড়ালাম এক জোড়া চৌকাঠের এপার ,
ওপারে আমার অনুভূতির সবটুকু রঙ
মেখে দেখলাম তোমাকে –
শুভ্র সুবসনা এক নারী
শেষ বিকেলের ছায়া মাখা
শরীরে যাহার বিজাতীয়
সদ্য সতেজ বধু-মাতা-প্রিয়ার গন্ধ !

ভালোবাসার বিভূতি বিহীন
বিষণ্ণ এক জোড়া চোখ !
ব্যবধানহীন দূরত্বে চৌকাঠে
আমাদের মাথা;
কুয়াশার আবরণ ভেদকরে
এক আলোক রেখায়
আমাদের চোখজোড়া অন্তঃলীন ,
ঠোঁটের কার্নিসে ঝুলে থাকা নৈঃশব্দতা
ভোরের শীতল হাওয়ার মত এক স্তব্ধতায়
আমরা জমাট বেঁধে আছি !

গোধূলির আঁধারে একটা ফিঙে
উড়ে গেল ক্লান্ত ডানা মেলে
চৌকাঠ এবং আমাদের উপর দিয়ে
অন্ধকার আকাশের পথে !

তোমার বিষণ্ণ চোখ দু’টো
গেঁথে নিয়ে আমার বুকে
লাল নরম লোমশ বটফল
দু’পায়ে মাড়িয়ে
আমি ফিরে এলাম
এক গভীর নির্জনতায়
দীঘল আঁধারে ঢাকা প্রলম্বিত পথে
এবং এখনও .........