এক বিধ্বস্ত নাবিকের শিথিল হাতের মুঠোয়
তোমার প্রত্যাশা তীর বিদ্ধ পাখির মতন
যন্ত্রণাক্লিষ্ট গোঙানির শব্দে
কম্পিত এবং নিস্তেজ হয়ে ঝিমোয়
প্রলম্বিত পথ বিশাল আঁধারের
মাঝে সমাহিত বলে ?
এক দুর্দৈবের জের টেনে টেনে
অনন্তর দৌড় পাল্লায়
পরাজিত ঘোড়ার মতন
তোমার চেতনা কী এখন
ঈশ্বরের কাছে অবনত ?
অস্থির সময়ের কবজায় পড়ে
তোমার আত্মপ্রত্যয় ঘূর্ণিত এখন ।
পিচ্ছিল পথে বার বার
হুমড়ি খেয়ে খেয়ে
তাবৎ রক্ত মাংস
বিশ্বাসহীনতায় ভুগছে বলে
তোমার অবয়ব ভীষণ শংকিত
এবং পাণ্ডরবত !
সোনালী স্বপ্নের তনুর ভাজে ভাজে
হিমবাহের প্রকট আবির্ভাবে
সপ্তরূপায় বিভাসিত তোমার সতেজ
অনুভূতির বুদ বুদ গুলো
ফসফরাসের মত জ্বলে উঠতে পারেনা
বিশাল আঁধারে সমাহিত
নীল জলের ভিতর
তাই দিশেহারা বিধ্বস্ত নাবিকের
মুঠোয় তোমার প্রত্যাশা এখন বন্দী ।
নরম লোমশ খরগোশ ছানার মতন
তুমি এখন ভীত সন্ত্রস্ত ?
অথবা রমণীর অন্ধকার জরায়ুর ভিতর
বন্দী ভ্রুন এর মত আগামী কালের প্রতিক্ষারত ?
আগামীকাল কখনও কী আসে
নব তরঙ্গের আলো নিয়ে ?
রূপ লাবণ্যে অপরূপা চাঁদ
এখন বিশ্বাস হীনতায় ভুগছে
আমাদের এই ধুলির ধরায় !
আগামীকালকে লাল থালার মতন
যে সূর্য আসার কথাছিল,
সে হয়তো আসবেনা ।
তুমি বিস্ময়াহত হবে !
তোমার বিশ্বাস ভঙ্গ হবে !
আসলেই বিস্মিত হওয়ার কিছু আছে কী ?
বিশ্বাসী সব শব্দাবলীরা কী নির্বাসিত ?
তোমার প্রত্যাশা এখন বন্দী বলে
বিস্ময়াহত বা বিমূঢ় হওয়ার কিছু নেই ;
বৈষয়িক সব প্রয়োজনে
চক চকে রূপোর মতন
এক পেয়ালা রোদ এখন
আমাদের বড় বেশী প্রয়োজন !