স্বর্ণা, মেয়েটার নামটা যথার্থ
ভোরের সোনালী আলোয়ে দ্বীপ্তিময়
তার অবয়ব, কনকচাঁপা পাপড়ি দিয়ে
গড়া তার পুরো শরীর
ডিমের কুসুমের মতন নরম তার মন
মায়াবী তরুর মত  তরতাজা
এমন মেয়েকে কে না ভালোবাসে
আমি তারে আদুরে গলায়ে ডাকি মা !


বহমান সময়ের সাথে সাথে
বিকেলের সূর্যের মতন এক সময় স্বর্ণা
হয়েগেলো ক্লান্ত মলিন কান্তিহীন,
চোখ রাঙা পাখি এসে একদিন
নিয়েগেলো তার চোখের আলো
স্বর্ণা কেবল কাঁদে –
‘চোখ গেলো তার চোখ গেলো’
স্বর্ণা কাঁদতে কাঁদতে দাঁত হারালো
শ্রী হারালো মানুষের ভালোবাস হারালো;
মানুষের ভালোবাসা হারালে কী
থাকে তার আর  ?
স্বর্ণার কিছুই থাকল না আর !


স্বর্ণার কান্তি নেই চোখ নেই দাঁত নেই
কাহারো আদর নেই পেটে ভাত নেই
শোয়ার জায়গা নেই
সোনালী স্বর্ণার  নেই কোনো ঠাঁই
এক সময়ের আদরের স্বর্ণাকে পাগলী বলে
ঠোকনা মারে ঘার ধরে ধাক্কা মারে
এমনকি লাথথি মারে
লাথথি খেতে খেতে স্বর্ণা এখন
অবশ শরীর নিয়ে
বিছানায় নিয়েছে ঠাই ;
স্বর্ণা আর কোনো কথা বলে না
পানি ছাড়া আর কিচ্ছু গিলেনা !


পাজড়ে ঘাঁ হয়ে মাংস খসে পড়ছে
সব কষ্ট বুকের ভেতর চেপে রেখে
উহু শব্দ করেনা , নাক দিয়ে শ্বাস নিতে
পারে না তাই মুখ দিয়ে বাতাস গিলে !


এমন স্বর্ণাকে দেখার মতন  মানসিক
শক্তি নেই আমার ; যদিও সে আমার মা
গর্ভধারিণী মা !
দেখা হবে না কোনোও দিন আর !!


সে এখন অনেক অনেক দূরে
আকাশের তারা হয়ে গেছে !!!