(কবিতাটি আসরের ইন্দ্রনীল কবি কে নিবেদিত)


মায়াবী চিত্রালী হরিণ-হরিণী সুন্দরীর আঁচলের নীচে
অহর্নিশি করে বিচরণ ঘাস পাতা তৃণলতা এই তার আহার
কী কষ্ট তাহার এতো…
তালশাসের মতন ডাগর দুটিচোখ যেন জলটলোমল
অমন মায়াবী চোখ তবুও কাহারো বুকে জাগাতে
পারে না এত্তটুকুও মায়া আহা!
ডোরাকাটা বাঘ-বাঘিনী বসে থাকে ঝোপের আবডালে
নাগালে পেলেই হালুম আর খালুম।
পিপাসায় কাতর হয়ে জলের কিনারে গেলে
গিলে নেয় কুমিরের শক্ত চোয়াল!
অভিজাত বনিকশ্রেণী দাদন দেয়
অভিজ্ঞ শিকারীদলকে কস্তুরিধারী মৃগনাভি কেটে নিতে।
মানুষ কী কমযায়- উল্লাসে মেতে ওঠে করে আয়োজন
ওদের নরম মাংস দিয়ে বারবিকিউ,
চামড়া শুকিয়ে শোভাবর্ধণ করে বসার ঘরে
গাছের ডালের মত শিঙ ঘষেমেজে দেয়ালে
লটকায়; কোনও কোনও অভিজাত সৌখিন পুরুষ
শিঙের মাথায় ঝুলায় দামী পরিচ্ছদ;
বলো কোথায় যাবে ওই নিরীহ প্রাণীকুল!
হে প্রভু মহান স্রষ্টা ওদেরকে রূপান্তরিত করেদিন-
হয়ে যাক এক একটা জেটবিমান…