দিন কয়েক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
খড়কুটো জড়ো করে দাঁড় করলাম
একটা অবকাঠামো
যার একটা হাত ঊর্ধ্বে মুষ্টি বদ্ধ,
পায়ে ছুটে চলার ভঙ্গিমা।
কাদামাটির প্রলেপ দিয়ে
রঙ মেখে জীবন্ত করার আকুলতা;
চোখ দুটো তার ভীষণ নিষ্প্রভ।
পারছিনা লাবণ্যময় করে তুলতে।
ব্যর্থতায় ক্লান্তিতে হাতে উঠে এলো
মুগুড়, ভেঙ্গে ফেলতে উদ্যত হলে
সে কেঁদে ফেলল!
দুচোখে অশ্রু ঝরিয়ে বলল-
‘আমায় বিনাশ কর না বরং
হাতে তুলে নাও তুলি
গাঢ় লাল রঙ মেখে দাও
আমার জলজচোখে!
দেখ এবার তাকিয়ে-
আমার লাবন্য নেই অবয়েবে;
চোখে আছে আগুন ঝরা পলাশ!
চোখ থেকে ঝরে পড়া
রক্ত মাখা বর্ণমালা তোমার কবিতা’!


আমার অতৃপ্ত আত্মা চিৎকার করে বলে-
না...! তোমার কোনো হৃদস্পন্দন নেই,
ছন্দময় সাবলীল গতি নেই, তুমি স্থুলস্থবিরতা;
নও কোনোও নান্দনিক কবিতা!
তুমি আমার নিদ্রাহীন অসুস্থ মানসিকতা,
রাতজাগা বিমূর্ত মূঢ়তা!