শালি ধানের চিঁড়ে আর নলেন
গুড়ের পায়েস না দিয়ে পাতে
হৈমন্তী পাশ কাটিয়ে গিয়েছে চলে
ঠেলে দিয়ে হিমানীর কোলে।
বহুত জাড়রে হিমানী!
কাশ্মীরি পশমী কম্বল না যুটুক
অন্তত একটা ছেঁড়া কম্বল দে
হাড় কাঁপানী ঠেকাই!
' তোকে বিশাখা ডাকছে।'
ক্যান? ক্যান? ক্যান?
সরষের তেল মেখে শরীরটা গরম করার জন্য।
যাহ! ইয়ার্কি মারিসনে।
মাঠ ভরা সরষে ফুলের হলুদ সম্ভার
তেল পাবে কোথা?
'সেটা তোর ভাবতে হবে না।'
'চল,' বলে পাঁজাকোলা করে
একেবারে উদোম অবস্থায় সরষে ক্ষেতে
চিত করে ফেলে রেখে গেলো।
বিশাখা মিটমিট করে হাসছে আর
ইশারায় কাকে যেন কিছু একটা বললো-
মধুমক্ষী ঝাঁক বেঁধে সারাটা শরীর জুড়ে
জেঁকে বসে ইচ্ছেমতো হুল ফুটাচ্ছে।
বিষের যন্ত্রণায় শরীরটা বিবশ!
শীত পালালো মেঘের আবডালে।