আকাশের চাঁদ , চাঁদের আলো জোছনা
গাছের পাতায় সবুজ ঘাস লতায়
এবং তোমার মায়াবী শরীরে লুটায় ;
তীব্র বাসনা আমার
করতে পান জোছনা
দু’হাতের আঁজলায় !
নিকষ আঁধার কেবলই ঘিরেরয়
করতে পারিনা সেই অমিত জোছনা পান
দুই হাতের আঁজলায় আঁজলায় !
ওরে দহন কী তীব্র দহন নিত্যদিন দহিছ আমায় !
সোনালী ভোরের মত সবুজ জীবন ছিলো
স্বপ্নছিল আশাছিল অমল বাসনা ছিলো ,
সবুজ ঘাসে লুটানো
তোমার শরীরে মাখা অঢেল জোছনা
দু’হাতের আঁজলায় পান করার
তীব্র বাসনা ছিলো !
এমন অমিত সৌন্দর্যময় পৃথিবী
সেও ভয়াবহ কুৎসিত হয়ে যায় !
সকল বাসনা আশা আকাঙ্খা
তীব্র দহনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় !
কী নিয়ে বাঁচতে পারে মানুষ ,
তবুও বাঁচতে চায় , বেঁচে থাকে !
যেখানে আশা নেই আলো নেই
নেই কোনো ভালোবাসা ;
যেখানে আছে শুধু গভীর আঁধারে
পেঁচার মতন বেঁচে থাকা
সেই পৃথ্বীতে বাঁচার সাধ কার এতো ?
যেখানে রক্ত রেণু মাঠে মাঠে
ঘাসে ঘাসে সবুজ বাসনায় ছড়িয়ে রয়
নিকষ কালো আঁধারে অথবা ঢের জোছনায়
সেখানে থাকে কঠিন জীবন
শুঁয়ো পোকার মত জীবন !
বাসনার মৃত্যু আছে , তীব্র দহন আছে
তবু জীবনের মৃত্যু নাই ;
জীবন অনন্তকাল ছড়িয়ে থাকে
এই পৃথিবীতে অলীক বাসনায় !