দখিণা বাতাসে ভরানদী বুকে কত ঢেউ খেলে যায় ,
আমি তার কাছাকাছি যেতে পারিনা ;
হায়রে আমি তার কাছাকাছি যেতে পারি না !
হিজল তমাল ছায় দখিণা বাতাস বয় ,
আমি তার কাছাকাছি যেতে পারি না ;
হায়রে আমি তার কাছাকাছি যেতে পারি না !
বাঁশ বাগানের মাথায় চাঁদ হেসে লুটোপুটি খায় ,
আমি তার কাছাকাছি যেতে পারি না ;
হায়রে আমি তার কাছাকাছি যেতে পারি না !
কদম কেয়ার’পরে কত জোছনা ঝরে পরে ,
আমি তারে অঞ্জলিতে ধরতে পারি না ;
হায়রে আমি তারে অঞ্জলিতে ধরতে পারি না !
সোনালী আভায় ঘাসের ডগায়
শবনম হেসে লুটোপুটি খায় ,
আমি তারে করতলে মাখতে পারি না ;
হায়রে আমি তারে করতলে মাখতে পারি না !
শারদীয় জোছনায় শেফালী কেঁদে কেঁদে কয় –
বেঁধে রাখা যায় কী মোরে সবুজ বোটায় ,
আমি তারে বেঁধে রাখতে পারিনি ;
হায়রে আমি তারে বেঁধে রাখতে পারিনি !
দোয়েলের শিশে শিশে রাখালের বাঁশিতে
জীবনের সুর বাজে নিত্য যে মাটিতে
নিবিড় সবুজ ভরা মায়াময় ছায়া ঘেরা
আমার সেই ছোট্ট গ্রামখানিতে
আমি আর যেতে পারি না ,
হায়রে আমি আর যেতে পারি না !!