আঠারটা বসন্ত আমি কাটিয়েছি এই বন্ধ ঘরে একা
এবার জানালাটা খুলে দাও
প্রাণে লাগুক হাওয়া


কাল বৈশাখী ঝড়ে আমবনে আম কুড়োতে যাইনি আমি
পেয়ারার ডালে ঢিল পড়েনি একটাও
গাছের কুল মাটিতে এমনি এমনি শুখিয়ে গিয়েছে
পুকুরের পাতিহাঁস নিরাপদে সাঁতার কেটেছে আমার দুষ্টুমি ছাড়াই
নদীর পাড়ে ঘাসের চাদর নরম পায়ের ছোঁয়া পায়নি একবারও
আমায় ডেকে ডেকে শেষে
নৌকাগুলো পাল-তুলে চলে গেছে দূরদেশে


একা আমি একা ঘরে আঠার বছর
আপন পাহারাদারের হুকুমে
শুধু কালি কলম কালির চক্রব্যূহে
ঝরে পড়া স্বপনের গন্ধ শুঁকে শুঁকে
বুঁদ হয়ে ছিলাম
ফিরেও দেখিনি শিরীষের ডালে নতুন বসন্তের আগমন


আজ আমার প্রাণে বসন্তের হাওয়া
মুছে গেছে মিথ্যে রঙ্গের পিপাসা
খুলে দাও কুঠুরির দরজা
আমার আঠার আবারও ফিরুক কাছে


নৌকোগুলো আবার লেগেছে ঘাটে
পাল-তুলে চলে যাই রক্তিম বোধের দেশে ।


৪ঠা অক্টোবর ২০১৩ ইং