বহু পুরনো বুড়ো বটগাছটা আর বাঁচবে না
পত্রহীন ডালগুলো ভেঙে পড়ছে
দুর্দান্ত জটিল অসুখ সমস্ত শরীর ছেয়ে ফেলেছে
ভয়ে কাকেরাও ডালে আর বাসা বাঁধে না ।


অসুখটা যে বহু পুরনো
সেই কবে এক বিদেশী সাহেব শহরের মাঝখানে
অতিলোভে পুঁতেছিল হিংসার বিষাক্ত এই বীজ
তারপর দেশী সাহেবেরা যত্নআত্তি করলেও
রক্তে বাসা বেঁধে থাকা কীটাণু ছেয়ে ফেলল সারা শরীর
অন্ধকার মৃত্যুই এখন তাঁর শেষ চিকিৎসা ।


চড়াই, বাবুই, শালিক, বক, দোয়েল, কাক
আশ্রয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে এদিক ওদিক ঘোরে
নিজেরই দেশে পরদেশী, খাদ্যহীন আশ্রয়হীন বিদেশী
বিষাক্ত বটের ছায়া নিশ্চিহ্ন করেছে সবুজ বনানী ।


শালিক একদিন বককে বললে
চল্‌ না, পুব দিকের ওই লাল পাহাড় থেকে বীজ নিয়ে আসি
এখানে উর্বর মাটিতে ফেললে মায়াময় বনানী হবে
মিলবে জল, খাদ্য ও আশ্রয়  
আর শুষ্ক পৃথিবী প্রাণ ফিরে পাবে ।