আজ খুব ইতিহাস হাতড়ালাম...
তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখলাম
কি কি দিয়েছি, আর কি দিইনি তোমায়!


পেলাম একটা বইয়ের খাঁজে
ভাঁজ করা ঝাউ পাতা...
তাতে লেখা এক দুপুর ভরা কথা;
একটা চ্যাপ্টা বাদাম খোলা...
বীজহীন এক গর্ভ সৃষ্টি মায়া;
আর পেনের শূন্য রিফিল...
মন খালি করে রাখা।
পেলাম রংচটা এক ব্যাগে
ছোট্ট একটা ঝিনুক...
মুক্তো তৈরি করার;
একটা পায়রা-পালক...
ওড়ার স্বপ্ন বোনার;
আর শুকনো ফুলের কুঁড়ি...
রঙিন খবর দেওয়ার।


এ সবকিছুই তোমায় দিয়ে
ফিরিয়ে নেওয়া আমার; তাহলে...  
কি কি দিয়েছি, আর কি দিইনি তোমায়!


অত আজ ভাবার সময় নেই...  
যা কিছু নেই শূন্যস্থানে
তা আর কোথাও নেই!
তাই একটা কানের দুল,
একটু হাতের ছোঁয়া,
ভিড়ের মাঝে দুজনার
সাত পা হেঁটে যাওয়া,
এ সকলই তুলে রেখো
তোমার গোপন ব্যাগে...
পরের বারে এমন দিনে
আমি খোঁজার আগে,
মনে করে বোলো আমায়
কি কি তোমার লাগে!
... জানি আমি ভীষণ বাজে।


অতীত খোঁজা রঙে এই শ্রাবণ রাঙা দিন...
ভালোবাসায় জানাই তোমায়
শুভ জন্মদিন।


(কৈশোর আর যৌবনের সন্ধিস্থল থেকে আজও যে নিরন্তর ভাবে আমার সব পাগলামো সহ্য করে যাচ্ছে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তিনি আমার বন্ধু ছাপিয়ে প্রেমিকা ছাপিয়ে স্ত্রী নাকি স্ত্রী  ছাপিয়ে প্রেমিকা ছাপিয়ে বন্ধু, তা আজও বুঝিনি... আজ তাঁর জন্মদিন... তাই আমার খামখেয়ালি ভালোবাসার এক ছোট্ট উৎসর্গ তাঁর প্রতি)