শুনেছি সে রাতে বাজেনি বাঁশী
নাক লোক চক্রান্তে,  
দূর হতে দূর প্রান্তে
হেসেছিল এক ক্রুর সে হাসি...
থাকে নব জায়া পতি অজান্তে।


আজও তো দেখি জানে না বেহুলা,  
কবে কোণ ক্ষণে হয় কি ছলনা,  
মৃদু ভালোবেসে লখিন্দরের হাতটি ধরে সে;  
আগল দেওয়া ঘরের মাঝে
হয়তো বা আজও প্রিয়র সাজে,  
কাশ্যপ সুতা ফিরে আসে সেই লোহার বাসরে!
নাহলে কেন গো বেহুলা ভয়ে
আলুথালু বেশে একা সংশয়ে,
ছিন্ন ভেলায় গাঙের জলে একা চলে সে ভেসে?


জানি ইচ্ছে ছিলোপ্রথম ছোঁয়ার তোমায়;
এড়িয়ে সকল দৃষ্টি বাসর শয্যায়
নিভৃতে হরষ তাই রেখেছিলো
লখিন্দর, দৃঢ় প্রত্যয়।
নব বধূ সাজে
লজ্জাবনত, ভরা কুললাজে  
চাঁদ সুহৃদ সাহা তনয়া...  
মৃদু পদব্রজে, সঁপিতে পরাণ
আসে প্রিয় মাঝে, সতী সহজিয়া বেহুলা।