পশ্চিমে ছায়া ফেলে
সরু গলিটার মুখে
আজও দেখি বেঁচে আছে গাছটা,
আর বহু ওপরে বাজের মতন
ঘুরছি আমি বৃত্তাকারে তারই আশেপাশে,  
আকাশে আকাশে...  
ডালের থেকে ডালে...
আমার পাখার উত্তাপ মেখে নিয়ে পাতাগুলো
ঢেকেছে ছায়ায় রাস্তায় বিছানো ধুলোর চাদর;
এমনি করেই একদিন,
অপসুর অনুসুরের ছায়াচক্রে যাত্রী হয়ে
মাটির ধূসরে মিশে যাবে সবুজ।
দিগভ্রান্ত আত্মীয়তায়
শুধু থাকবে পড়ে কিছু অসংলগ্ন ডাল...  
ছায়া দেওয়া বড় পাতাগুলোও খাদ্য হবে...  
ঠাই দেবে জঠরে মহাকাল!  


তারও বহুকাল পরে যখন
প্যাঁচার ডাকে ধান কাটা ঠাণ্ডা রাতে
নবান্নের গন্ধে বারুদ তৈরি হবে,
সূর্যাস্তের আলো চুরি করে
নিওন চাঁদ ভোরের আলোর ছটায়
কিছুদিন পর জ্বালবে আগুন  
পলাশ রাঙা ফাগুন...
ছোট ছোট পাতাগুলোয় কেড়ে নিয়ে আমার ছায়া,
তখন জানি না বৃত্তাকারে আমার ওপরে
কার তরে কার যাওয়া আসা
আশেপাশে, আকাশে আকাশে...  
সে সময় একবার ঠিক করে যদি বলো
আবার জ্বলবে কবে আগুন,
কবে জাগবে পলাশ শুকনো কিছু ডালে,
তবে আমি আবার ধূসরে মিশিয়ে দিতে পারি সবুজ...  
পলাশ, আর কত অপেক্ষা আগুনের...