শক্তি, তোমায় বলছি শোনো-
গঙ্গার ধার ছেড়ে
এসো একবার,
দাঁড়িয়ো না আর
চিতাকাঠের পারে।


চলো একবার
খুঁজে আসি গিয়ে
ভানুমতীর দেশ-
পূর্ণীয়া দূর, রাজা দোব্রুর
রয়েছে কি অবশেষ?


হয়ত একটু কষ্ট হবে
এই বয়সে এসে,
থাকবো আমি
আর অবনী
তোমারই পাশে বসে।


লিখবে তুমি, তোমার ছন্দে
দুলবে ধাতুরিয়া,
বাজবে মাদল,
ঘুঙ্গুর পায়ে নাচবে সুরতিয়া।


সূর্য্যি যখন ডুববে পাটে
ক্লান্ত রিক্ত বেশে, গাইবে তুমি
তিলক কামোদ,
ছায়ানটের শেষে।


শুনবে সে গান বিভূতিভূষণ
রাজু পাঁড়ের ঘরে।
চাও কি তুমি ফিরতে তখন
ভুবন ডাঙ্গার তরে?


তখন, "সত্যচরণ কোথায় তুমি"
হাঁক পেড়ো গলা ছেড়ে...


তবু চশমা খুলে সামনে দেখো
দূর হতে বহুদূরে...


দাঁড়িয়ে আছে
আজও সেথায়
মীনাক্ষী চুপ করে,
অছি সাহেবের ঘুম পেড়িয়ে
গোলদিঘিটার পাড়ে।


পারোই যেতে ইচ্ছেমতন
চাঁদ কিম্বা চিতা,
আগে একবার দেখিও তাকে
জঙ্গল, পূর্ণীয়া।


এবার বলো থাকবে কোথায়
ওপাড়ে না পিছে?
কলম ধরো আবার তুমি, বলি,
"এতো কাঁদাও কেন মিছে"?