গঙ্গায় জল বয় না আর অত,
এখন শুধু ঘোলাটে বালির স্রোত,
বিসর্জনের কাঠামোগুলোর মত
পড়ে থাকে নাগরিক শব যত।


বাবুঘাটে খুব হাওয়া বয়ে যায়
নিশ্বাসের এক জটলাতে এখন...
পরজীবীর মত লতায় লতায়
বাহুডোরে বাঁধা পরে আছে মন।


ওপাড়ে বাড়ির ছাদের ফাঁক থেকে
উঁকিমারা লাল সূর্যের ছায়ারঙে
দেখছি এ সব ভাস্কর্য যেন,
মৃদু মৃদু দুলে ওঠে সে প্রাণ নিয়ে।


আসলে এ কোনও শিল্প-টিল্প নয় -
চোখ ভোলানো অসাড় নগ্নতায়
দমবন্ধ শহুরে চটকতায়,
রমণীয় প্রেম শান্ত ছায়াই খোঁজে।

ঠিক কিছু নেই, কিন্তু তারই ফাঁকে
আদ্যপ্রান্ত যা কিছু ঠিক আছে,
তারই গভীর শ্বাসমূলখানি ধরে
আজ উদাসী সব বাসনারাজি সাজে।


রঙিন ছবির ধূসর মলিনতা
প্রপিতামহের আসবাব সব যেন,
অবিন্যস্ত ক্ষয়াটে দাগের মত
আঁকাবাকা এক গতিহীন চলাফেরা।


সরলরেখা এর ফাঁকে খুঁজে পেলে,
চুঁইয়ে পরা সূর্যের ছায়ারঙে
আজও একা প্রেম টুপটাপ ঝড়ে পরে -
বটের নীচে বসা মানুষের ঘাড়ে।


ছাউনিওয়ালা নৌকাগুলো থেকে
ভালবাসা যদি আবার জন্মে ওঠে
গাছের গুঁড়িতে, গঙ্গার পাড় ঘেঁষে ,
চির কাঙ্ক্ষিত নামহীন ঠিকানাতে...


বাবু ঘাটে আবার বইবে হাওয়া,
জটলা পাকানো হাসি ঠাট্টার মাঝে-
মানুষে মানুষে জুড়ে যাবে সব মন,
বহুক্ষণ যাবে এক হয়ে বেঁচে থাকা।