অবাক হলাম!
এমন করেও বাঁশী বাজতে পারে...


জনপদে যাতায়াত আর আলোর মেলা ভুলে...  
হারানো দৃষ্টি উড়ছিল তার হাওয়া জড়ানো চুলে;  
কপালে, গালে, চোখের ভাঁজে ভাঁজে
ব্যাথাগুলোর স্বরলিপি তার বাঁশীর সুরে বাজে!
এমন করেই ছিন্ন মলিন বেশে,
বাঁশী হাতে বিকেল বেলার শেষে
পথের ধারে সাদর অবহেলায়,
দাঁড়িয়েছিলো লোকটা ধর্মতলায়।


কেউ দেখেনি তারই খানিক পাশে...
খর্বকায় এক মোটা মানুষ হাসে;  
সামনে মাটিতে সলমা জড়ির কাপড়
খুচরো গোনে উড়িয়ে হাওয়ার হাঁপর!
হলদে দাঁতে আবছা আলোয় মুখ দেখা যায় পাছে,  
তাই বাজছে বাঁশী জোরে কানের কাছে।
বাঁশীওয়ালার দুঃখ সুখের আপন খোঁজার ফাঁকে
পথচলতি মানুষগুলো সব নিজের দর হাঁকে।


হাতে নেওয়া চায়ের ভাঁড়, আর একটু ধোঁয়ার মাঝে
চালশে চোখের দৃষ্টিটাকে লাগিয়ে গভীর কাজে
বুঝতে পারি, গরীব মানুষ এমন করেই কাঁদে!
সেই কান্নার সুরই বেজে ভীষণ আহ্লাদে
কোড়ায় স্বপ্ন, জোটায় অর্থ বিত্তবানের হাতে;
বিকেল হাওয়া স্বস্তি আনে বাঁশীওয়ালার চুলে, যাতে
অল্প কিছুর বিনিময়ে সলমা জড়ি ভরে...  
আবছায়ার ধর্মতলায়, লুকিয়ে অধর্মেরই ঘরে!


অবাক হলাম...
এমন করেও বাঁশী বাজতে পারে!