ধরো, যদি
অষ্ট সতীর সাক্ষী হয়ে
রুক্মিণীর সাথে রাধার দেখা হত, বৃন্দাবনে-
তাহলে কি আর হত এমন ...
একটা করে লাইন জুড়ে জুড়ে
আরও বড়ো কাব্য হত,
ক্ষইতে ক্ষইতে সময়ের মত ছোট হয়ে যেত প্রেম,
আর নারীর দ্বন্দ্বে কৃষ্ণ পড়তো কাটা।


সুদাম-সখা বলো-
ওদের সাথে করেছ কি তুমি দেখা
গোলকে একসাথে, বা না হয় বৃন্দাবনে-
কুরুক্ষেত্র শেষে?
বাউন্ডুলেই থেকে যাবে তুমি, তোমার সকল কাজে?


ঘড়ির কাঁটার মতই
ঘুরতে ঘুরতে ফিরে আসা একই খানে-
আদি পরাশক্তি আর মহা লক্ষ্মী
এরই মাঝে পিষে গেছো তুমি, গোলোকবিহারী
বাঁশি ভাঙলে কি আর প্রেমেতে ছেদ পড়ে?


কংসের মত কেউ আসেনা আর!
রাস্তায় তাই নামনি এখনও
রাসের মঞ্চ ছেড়ে,
নাকি নিজেরই হাতে লাশের রক্ত দেখে
তুমি অশোক হলে শেষে?
দয়ার শরীর তোমার রাধেশ!


রাসের মঞ্চে
আরও একটু নেচে-গেয়ে নাও, মেলায়
পাঁপড়, বাদাম, জিলিপি খাওয়া শেষে
দোকানি যদি দাম বেশী নেয়,
তবেই এসো অবতার বেশ ধরে,
শিশুপালের মত বধ করো চক্রাঘাতে।


সেও কৃষ্ণ...
শুধু তোমারি নাম করে
একটিই রাধার সাথে বেঁধেছিল ঘর, ছোট্ট কুঁড়েঘরে।
বছর ছয়ের সাম্বকে একটু আলো দিতে-
এক টাকা দাম প্রতি সের পিছু
বেশী নিয়েছিল সে।
ফিরবে না সে আর কোনদিন
সাম্ব-রাধার দ্বারে।


শুধু বিধান দিতে দিতে
হারিয়ে ফেলেছ তুমি ভালবাসা, প্রেমটাকে!
সাম্বকে তুমি দিয়েছ শাপ
কুষ্ঠের বিষ সাথে,
আর সংসার বিষ গিলে নিয়েও
কৃষ্ণ মরলো তোমারই হাতে।


তবুও
..."যাদবায় মাধবায় কেশবায় নমঃ"-
কপালে হাত ঠেকে।