অদ্ভুত সুন্দর সব শব্দ দিয়ে একটা ছবি আঁকলেন কবি,
সাজালেন তাদের মহামূল্য রূপকে...
গরিমান্বিত এক স্থাপত্য রচিত হলো
আকাশচুম্বী সব মিনারকে নীচে ফেলে,
ছোট পঙক্তির সাথে বড় পঙক্তিদের জুড়ে।


আনাচে কানাচে তার চোরাকুঠুরি আর অলিন্দের ফাঁক গলে
কত প্রিয়ার হাত ধরে কত প্রিয় গেলো চলে,
বসন্ত কুঞ্জে নিভৃত কুহুতানে...  
কেউ না বুঝে, কেউ বা ভালোবেসে,
আর কিছু মুখ ফেরালো মিনারের দিকে।  


কবি সকলকে স্বাগত জানালেন কুর্নিশে, বন্দিশে।  
শুধু যারা মুখ করে পিছপানে মিনারেতে চড়ে
বুক ভরে শ্বাস নিল অক্লেশে, নিতান্ত সত্যের পথে
চাপ ধরা স্থাপত্যের জৌলুস থেকে নিষ্কৃতি পেতে...  
তাদের সমালোচনা শুনলেন না কবি, কবি তা দিলেন মুছে।


যদি বুঝতেন আহা, জেগে উঠত কবির মহল সমালোচনার শ্বাসে,  
চোরাহাসি মাখা চাটুকারি পর্ষদদের সারহীন স্তোকবাক্যের চেয়ে...  
তাহলে হয়তো কুঞ্জবনে বসন্ত সমাগমে
কবিও হতেন সাথী কবিতার, যুগান্ত ব্যাপী প্রেমের।
বুঝলেনই না কবি শিখর দম্ভে বসে, তিনি রইলেন কত নীচে।