তোমার ছোঁয়ায় অনু-পরমানু
চেতনার বদ্ধ দুয়ার ভেঙে
ছড়িয়ে যায় বারবার...  
বিশ্বব্যাপী বিস্তারিত
তোমার উপস্থিতির বলয়ে,  
শত শত ছায়াপথ, নীহারিকা হয়ে পার।


সাক্ষাতে অজান্তে থমকে দাঁড়ায়
অগ্নিস্ফুলিঙ্গের বেগে ধেয়ে যাওয়া সময়।  
ছায়াঘেরা অরণ্য তোমার সাবলীল যত্নে
মহাশূন্যের শীতলতায়,
উজাড় কোলে আমার ক্লান্তি মেলে ধরে যখন...
তখন, একটা মোমবাতির আলো চাই আমার।


একটা মোমবাতির আলো,
বেশ খোলামেলা... কাঁপবে নিশ্বাসে...  
যেমন চঞ্চল ধুলোর মত
তুরঙ্গ নাসা নির্গত শ্বাসে তুমি কাঁপো,
যেমন অশান্ত, অবাধ্য অশ্বের কেশর,
কালো চামড়ার মত
কেঁপে ওঠে তোমার ঘাড়, গলা...
তেমন করেই আসুক সে।
ঘাসের গন্ধ থেকে, বহুদূরের গ্রীষ্ম থেকে,
যেখানে বসন্তের শেষ পাতা ঝরে,
ধুলোয় ঘষা খেয়ে
আগুন হয়, পোড়ানোর প্রস্তুতিতে।


বজ্রপাতের শক্তি নিয়ে সে হাসবে,
আর হাসলেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে
জগৎবৃত্তান্ত। আমার তাকে চাই।
তুমিই পারবে
তোমার নীল, উন্মুক্ত কম্পমান শিখা থেকে
তাকে দিতে, দেবে তাকে?


পৃথিবীর লাল আঁচে পুড়িয়ে, পিটিয়ে
যা কিছু অচল সব ছিঁড়ে ফেলে দিতে
ইচ্ছে আছে, তাকে নিয়ে স্বপ্ন কাস্তে গড়ার।