ঝুপ করে নেমে আসা অন্ধকারে সেদিন
দেখি ঘুরছে একটা ছায়া,  
একা ব্রিগেডের মাঠে...  
কেউ কোথাও নেই যে একটু তাকিয়ে দেখে,  
গেলেও হয়তো যেত চেনা
দাঁতে বিড়ির দাগ দেখে।


অবাক চোখে কুড়াতো সে কাপ সভা ভাঙার শেষে
একটাই হাত দিয়ে,  
ঠোঁটে বিড়ি চেপে...  
আরেকটি সে হাত না জানি কোথায় গেছে উড়ে...  
আন্দোলনের স্বপ্ন দেখে  
বারুদে ঝুরঝুরে।  


ক্ষেপা কালীর সূর্য ঘোরে তার পৃথিবীর চারদিকে...  
আসমানি গড়ে দাদারা এখন
ঢলে নীল সোফাসেটে।  
উড়ে যাওয়া কালীর সেই হাতই এই মহলের কারিগর,  
মুখের লালায় ক্ষুধা মেটে তার...  
নেশা মেটা মহা ভার।


ব্রিগেড গ্রাউন্ডে ঝিঁঝিঁরাই তাকে শোনায় এখনো গান,  
মাঝে মাঝে কোনও হাওয়া ডেকে যায়
আলগোছে তার নাম...
আর সে নামে কি কাজ আছে, জানতে চায় না কেউ...
ভুলে যাওয়া ত্রাস তাড়ায় অভাব,  
যেন মৃত্যু জীবনে ফেউ।


হয়নি কালী কালিয়দমন বিষের পুকুর পানায়...  
এমনি করেই দিনগুলি সব
নিজের সূর্য শানায়।
বিড়িছোপ অভিমানী দাঁতে কালী আজও হাসে...  
ব্রিগেডের মাঠে পুরনো কথারাই
শুধু পড়ে থাকে ঘাসে।