অন্ন...
সে স্বাদ মুখের তৃপ্তি!  
কিন্তু শুধুই কি তা?
যে মুখটা শূন্য নামায়
অবহেলার অন্ধকারে,
পাকস্থলীর অলিগলির ঝুপ্সি যত বাঁকে,
জিগ্যেস করো তাকে...
জানতে পারবে
সব সন্তান একবার করে বাবা হওয়ার পথে
মাথা রেখে ডুকরে কাঁদে হতাশারই কাঁধে।
চায়না তারা মহার্ঘ্য সব
নাম না জানা খাদ্য,
ওসব তাদের জঠর দহনে সহজে নয় পাচ্য।
চোখের কোণের শুকনো দাগে খিদের আবদার
অবোধ শিশু পেট ফুলিয়ে জানায় বারবার।
মুছতে কান্না বাবার হাতের একটা ভাতের দানা...  
তারই নাম যে অন্ন...  
রাষ্ট্র, হয়নি তোমার জানা।


বস্ত্র...
আহা শরীর সজ্জা!
না। হয়তো ভাবছো ভুল...
শরীর যেটা মাখছে পথে তোমার পায়ের ধুল,  
জেনো হারিয়ে সে তিন কূল
হায়না চোখের আদরেতে লজ্জায় জড়সড়...
ভেবে দেখো রাষ্ট্র, সেথায় ভুল হয়েছে বড়।
খোলা বাজার, পণ্য অবাধ, বস্ত্র নানা রঙ,
ঢাকতে লজ্জা লজ্জাবতীর আলগোছামি ঢং!
তার প্রশ্রয়েতে বেশ্যাবৃত্তি পেটের দাবি নয়,  
আসল লজ্জা ঢাকতে দেহ আজও যে পায় ভয়।
শাক দিয়ে মাছ যায় না ঢাকা
মাছের গন্ধ আঁশে,  
লজ্জা মেটায় সিংহাসনটা
মখমল সন্ত্রাসে।
ভেবো তুচ্ছ লজ্জা ছাড়া মানুষ কোনও শরীর নয়,  
অধিকারের লজ্জা ঢাকার দায়ই বস্ত্র হয়।


বাসস্থান...
সুন্দর সব দেওয়াল ঘেরা সুখের প্যান্ডরা!
ভেল্কি দেখতে গেলে দিও নগদ হাজিরা...
কি দেখে সেই মানুষটা যার তারায় গড়া ছাদ?
সুখের স্বপ্ন দৃষ্টি ফুঁড়ে রচেছে এক ফাঁদ।
টুপটাপ তার তারা ঝড়ে
কোলের শিশু হয়...
দেওয়াল ঘেরা ছাদের স্বপ্নে,  
জীবন মৃত্যুময়।
জলের ছাঁটে ভিজেও তারা হাওয়ায় শুকিয়ে যায়,  
স্বাবলম্বী তারাই তো, রাষ্ট্র তোমার কোথায় দায়?
ব্যাঞ্জন আর স্বরবর্ণেই লেখা ছাদের ঠিকানা
কালচে মানুষ বাসস্থান তাই কি পাবে না?