শরীর টা তো ভালোই ছিল হাসত, খেলতো, নাচত সে,  
সবার মাঝে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলত সে।  
ঘরে, বাইরে, সমান ভাবে নানান কাজের মাঝখানে,  
সামলে সে যে নিত সবই, হাঁপাত খালি মাঝখানে।


খাবার দাবাড় ভালোই ছিল, ছিল ভালো ইনকামও,
অভাব ছিল না কিছুরই, সঙ্গে অল্প নেশারও।
নেশা মানে ঐ হয়, অল্প জল যা ধোঁয়াময়, আর  
দিনের পরে দিন চলে যায়, জীবনও কেমন পালটে যায়।


বন্ধুরা সব চলে গেলে একলা ঘড়ের নিভৃতে
ঘড় গুছাতাম আবার তখন, নতুন দিনের নেশাতে।
আজকে শুধু একলা থাকি ছোট্ট ঘড়ের এককোণে,  
বাঁচার নেশার স্বপ্ন দেখি, জানি না পাব কোনখানে।


বুকের ব্যাথায় শ্বাস আটকিয়ে শরীর সঁপি ক্লিনিকে
সব দেখে বলেন তিনি, ধরছে আমায় কর্কটে।
বুকের কোন এক ফুসফুসে বাস করে সে অজান্তে
জবরদখল করেছে সে, ছোট্ট আমার ঘড়টাকে।  


একযুগের ভাড়াটিয়া, উচ্ছেদের আর নেই উপায়,
বসত সেই করবে হেথায়, অমান্য করি কোন হেলায়।  
চিকিৎসা আর ওষুধপত্র থাকবে তারি সাথে হায়,  
মরছি কেবল আমিই এখন, আনন্দেরই যন্ত্রণায়।


তবুও ভালো, ঠিক সময়ে ধড়ার কাজটা হয়ে যাওয়ায়
বেশ কিছুদিন বাঁচব বেশী, নিয়ম-কানুন ঠিক থাকায়।
ডাক্তারও তো বলেইছে রাখতে মনে জোর আমায়,
নাহলে তো ভেসেই ছিলাম, শেষের ভেলায় খড়কুটায়।

তাই তো বলি তোমাদেরও, ইচ্ছে যতই হোক না ভাই
কিছু জিনিষ দূরেই রেখো, মনটা এসো পোষ মানাই।  
আজকে আমি একলা আছি, একলা থাকার দুঃখটা
তোমার সাথে কালকে আমি ভাগ করতে চাইব না।  


থাকো তোমরা আনন্দেতে, জালিয়ে খুশির সে রোশনাই,
কেউ যদি হয় আমার মতন লাগাম তাকে পড়িও ভাই।  
বেঁচে থাকার জন্যে যেমন জীবনটার এক কব্জা চাই,  
তেমনি জোরে ছুটতে গেলেও ঘোড়ার মতই ঠুলি চাই।