ভালো থাকার কৌশলটা জানা নেই
চেষ্টা করেও যেতে পারি না এ পথে,
একবার চেষ্টাও করেছি তোর মতো হই
অচেনা কারো সাথে ঘর বাঁধি
হয়নি, হয়ে উঠে নারে।


নিঃপ্রাণ দেহ নিয়ে সেদিন গিয়েছিলাম
রমাকান্ত লালের ভাংচুড়া গণিকালয়ে;
উদোম শরীরে কাছে আসা মৌলতা
সে কি যে অঙ্গভঙ্গি;
দেহের ভাজ খুলে টানতে চাইল কাছে
মন চাইল না আর, কাছে যাই।


আমি যে তোর কাছে অঙ্গিকারাবদ্ধ
যে শরীর তাপিয়ে দিয়েছিস একদিন তোর উষ্ণতায়
তা কি করে অমি বিলাব বাজারে,
যে মুখ ডুবিয়েছি তোর বক্ষে
সে মুখ খনিক প্রশান্তির আশায়
মৌলতাদের বক্ষে লুকাই কি করে বল ?


সত্যি বলছি,
সেদিন বড্ড ইচ্ছে করেছিল
অপারিজাতার সাথে ঘর বাঁধি
বাবা-মা’র ইচ্ছে-ও তাই অনেকদিনের;
নিজের মনের সাথে সেকি যুদ্ধ,
হেরেছি,
পরাজিত সৈনিকের মত;
মুখ থুবরে পড়েছি তপ্ত বালুর বুকে,
পারিনি ঘর বাঁধতে।


মনে আছে তোর ?
একদিন আমার রোমশ বুকে মুখ গুজে বলেছিল
‘আমি নীলাঞ্জনা চ্যাটার্জি থেকে নীলাঞ্জনা রায় হতে চাই’
অথচ;
সেই তুই আজ সেসব কিছু বেমালুম ভুলে
শাখা আর সিদুরে নিজেকে জড়িয়ে
দিব্যি বনে গেলি নীলাঞ্জনা চৌধুরী!


এখন তুই, ওই উত্তর পাড়ার
চৌধুরী বাড়ির ছোট বউ রাণী !