কোহিলির করতোয়া কুঠির
দেখিতে যদি চাও
করোতোয়া  নদীর তীর
পঞ্চগড়ে যাও।
কোহিলির ছোটভাই কাজল মা কোহিনুর
কাসেম আলী চাচা
কোহিলির বাবা করিম উদ্দিন
খাঁটি মানুষ বাচা।
কোহিনুর আর করিম উদ্দিন বেচে
চিতাই - ভাপা পিঠা
আখের গুরে ভাপা পিঠা
খেতে বেজায় মিঠা।  
ধুনিয়া পাতা-কাচা মরিচের ভর্তায়
চিতাই অনেক স্বাদ
কোহিলির মায়ের হাতের পিঠা
করেছে বাজি মাত।
পিঠা"র দোকানে আরো আছে
গুরের লবঙ্গ চা
চাও যদি ভাই হেতায় এসে
একটু খেয়ে যা।
সকাল বিকাল এই খানেতে
প্রচুর লোকের ভিড়
কেউবা মুক্ত হাওয়ার আশে
আসেন নদীর তীর।
কহিলি সে তো ছোট্ট মেয়ে
বয়স যে তার দশ
বাবা-মায়ের আদৌলতে
নাম হয়েছে যশ।
কোহিলির করতোয়া কুটির
নামে যে বেশ বাহার
বাস্তবে সেই কুটিরে
কিছুই নাহি তাহার।
দোচালা এক টিনের ঘর
বাসের চাটি বেড়া  
ওই ঘরেতে সপরিবারে
বসত করে তারা ।