শালার শালা নন্দ কালা
নাম হইল তার মালেক,
গর্ব করে বলে- তার দাদা
হাজী আব্দুল খালেক।
দাদার নাকি ছিল আগে-
গোয়াল ভরা গরু,
তিনশো বিঘা জমি ছিল
তা- নদীর জলে চরু।
চৌদ্দ গুষ্টি ডাটিয়া তাহার
বংশে নাকি কাজী,
সেই সুবাদে- চাকুরী পেয়েছে
থানার নৌকার মাঝি।
শালার শালা মস্ত পাজি
বিয়ে করেছে তিনখান,
দাদারো নাকি ছিল তিন-বৌ
তাই- রেখেছে দাদার মান।
শালার নুন আনতে পান্তা ফুরায়
ছাওয়া গোটা বারো,
তবু তিন বৌ-কে গর্জে বলে
বিয়া করিবে আরো।
কাজ-কাম কিছুই পারেনা
শলা মস্তবড় অলস
তিন বৌ- এ ধরিয়া তাহার
মাথায় ভাঙ্গলো কলস।
তিন বৌয়ের অত্যাচার আর
মাঝে মধ্যই হামলা,
অবশেষে পাজি মালেক
থানায় দিল মামলা।
মামলা তদস্তের ফলাফলে
শালা নিজেই দোষী হলো,
থানার নৌাকার মাঝি ছিল
চাকুরীও তার গেলো।