আমি দেখেছি গ্রামগঞ্জে, বাংলার ঢোল বাজে,
পল্লীগীতি ভাওয়াইয়া সুর, বাজে সকাল সাঁঝে;
গানে মুখর পল্লীবালার, শিল্পী যখন নিজে ।
ইট-পাথরে থেকে মানুষ, আঞ্চলিক গান খুঁজে,
ঠাণ্ডা জল বেশি খায়, হাত বাড়িয়ে ফ্রিজে ;
থেকে আরাম গ্রামগঞ্জে, সব মানুষেই বুঝে।


কলা গাছে ঝুলে ছড়ি, যখন দেখতে যাই,
নিজ গাছের পাকা কলা, হাত বাড়িয়ে নেই;
গাছ ভরা আম লিচু, খেয়ে শান্তি পাই ।
গরু মহিষ পালন করে, দুধে হয় দই,
কৃষক যখন চাষ করে, গরু টানে মই;
গ্রামেগঞ্জে হেমন্তে হয়, নতুন ধানের খই।


এই বাংলার আসল রূপ, বেশি দেখি গ্রামীণময়,
গাছপালা আর তরুলতাই, রূপের কথা কয়;
দু'পাশ ঠেলে খোলা প্রান্তর, নদী বয়ে যায় ।
নদীর কূল ঠাসা আছে, সবুজ গাছপালায়,
দাঁড়াই যখন নদীর তীরে, দক্ষিণা হাওয়া বয়;
ছুটে চলে নদীর স্রোত, সাগর সীমানায়।


দেখেছি ঐ দূর পাহাড়ে, নীল আকাশটা ছুঁয়েছে,
নেমে আসা নীল আকাশ, পাহাড় নীলাভ করেছে ;
উঁচু নিচু সব পাহাড়েই, নীলাভ ঢেউ তুলেছে ।
পূর্ব দিকে উদয় হয়ে, রাঙা রবি ছুটেছে,
রক্তলাল সূর্য এখন, বাংলার বুকে উঠেছে;
স্বাধীন দেশের নতুন সূর্য, অনেক স্বপ্ন দেখাচ্ছে।


বর্ষাকালের প্রধান রূপ, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ,
পৌষ গেলেও মাঘে থাকে, শীত কুয়াশা বাতাস;
ফাগুন দিনে ফুল বাগানে, মোহিত করে সুবাস।
মৎস্যজীবীর গুচ্ছ করে, জেলে পাড়ায় বাস,
কৃষক করে বর্ষা শেষে, আমন ধানের চাষ;
ধান কাটার শেষে মাঠে, শুধুই দেখি ঘাস।