শোভাময় কারুকাজ করে ঘুরেঘুরে,
তালপাতা চিরে চিরে তার বাসা মুড়ে।
আগডালে গড়ে তুলে বাবুইয়ের বাসা,
উচু গাছে সেই বাসা শিল্প গুণে ঠাঁসা।


বুননের মায়াডোরে তার নেই তাড়া,
পাতা ধরে থাকা এই বাসা ঝুলে খাড়া।
বাতাসের তাড়া খেয়ে শতবার নড়ে,
নিরাপদে টিকে থাকে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে।


বুননের কারিগর সবাই তা জানি,
মননে খনন করে তার ঘরখানি।
মনোরম কারুকাজে চারিদিক ঘেরা,
বাবুইয়ের বাসাগুলো কারুকাজে সেরা।


দলবেঁধে বসবাস তাল গাছ ঘিরে,
খানা খেয়ে ঘুম দেয় সারিবাঁধা নীড়ে।
লোকালয়ে উড়ে গিয়ে ধান চাল খায়,
নিরাপদে তার নীড়ে সুখে দিন যায়।


বিপদের আঁচ পেলে একসাথে উড়ে,
লোকালয় ছেড়েছুঁড়ে ছুটে যায় দূরে।
দলবেঁধে উড়ে যায় দলবেঁধে আসে,
একসাথে খানা খেতে ওরা ভালোবাসে।


মানুষের বাসাবাড়ি বাবুইয়ের মত,
পাশাপাশি গড়ে তুলে বহুতল শত।
বাবুইয়ের মত শুধু একতাটা নাই,
অপরের হক মেরে করে খাই খাই।


মানুষেরা একা একা সুখী হতে চায়,
যত পায় তবু তার হাহুতাশে যায়।
যতদিন না আসবে একতার নীতি,
কখনোই কাটবে না হাহুতাশ ভীতি।