মহাকালের জ্ঞানী ভাবো নয়নে চয়ন,
কিঞ্চিৎ জ্ঞানে করো শব্দকোষের বয়ন।
আত্মাপরাধ নেই এমন ভাবনা যেনো,
অজ্ঞানতাও আছে তারও ভাবনা এনো।
দু'পাশে যারা আছে ওরাও কিন্তু মানুষ,
গর্বিত মনে তুমি নিজের গুণে বেহুশ ।


ধরাকে সরা জ্ঞান করবে কতোকাল,
মানীর কাছে তুমি এক মহাজঞ্জাল।
তুমি তো সেই আমরা গাছের ঢেঁকি,
অজ্ঞতা কলকলিয়ে শুধুই উঁকিঝুঁকি।
কুঞ্জল ধুয়ে খাও ছিটাও শুধু নুন,
সুরহীন মন্দিরায় নিঃশেষ সব গুণ।


অজ্ঞতায় শুরু হয় চামচিকাদের নাচ,
নাচানাচি থেমে যায় যখন পায় আঁচ।
আবার হঠাৎ এসো খানিক সময় পর,
চ্যালা চামচা ঘেঁষে নড়ে তোমার ঘর।
জোড়াতালির আস্তরে যাবেই কতদূর,
অহংবোধটা থামাও সামনে অচিনপুর।


দোদুল ঘরে আছো স্বভাব নিয়ে দ্বন্দ্বজ,
অন্ধ ক'টি চ্যালাচামচা দৈত্যকুল দেহজ।
মানুষের মন জয় এতোটা সহজ নয়,
দু'পা এগিয়ে গেলে দেখবে পরাজয়।
মঞ্জরি ফুটে উঠলে ঝরবে পদতল,
জনগণ হেঁটে ঘেঁটে পিষে করবে জল।


সময় এসে গেছে শ্রবণশক্তি বাড়াও,
ভদ্রতা শিখে এসে এ সমাজে দাঁড়াও।
কুবুদ্ধি ঝেড়েঝুড়ে কুটচালটা ছাড়ো,
শ্বেতাব সাদা মনে সামনে আগ বাড়ো।
মানুষ্যত্ব ফিরে পেলে হবে শ্রদ্ধাভাজন,
ভজনে স্বজন পাবে করবে আলিঙ্গন।