পাহাড় টিলা হেঁটে গিয়ে বাড়ে বাহুবল,
সবুজ শ্যামল অপরূপ স্নিগ্ধ শ্রীমঙ্গল।
চায়ের দেশের ছোঁয়া পেয়ে মনে উঠে ঢেউ,
আনমনে ডাক উঠে যায় আছে আর কেউ?


চেখের পলক দেয়া দায় ধরে দূর প্রান্ত,
দেখতে এসে এক পলকে মন-প্রাণ শ্রান্ত।
চায়ের দেশে ঠায় দাঁড়িয়ে মন ক্লান্তিহীন,
শ্যামলবনে হৃদয় কোণে বেজে উঠে বীন।


সূর্যকিরণ প্রখর তাপের নেই কোনো আঁচ,
বাগান জুড়ে শ্যামল ছায়া দিচ্ছে উঁচু গাছ।
জারুল গাছে চিরল পাতা ঝিরিঝিরি উড়ে,
শীতল রাখতে ছায়া দেয় সারা প্রান্ত জুড়ে।


ছোট পাখির মধুর ডাকে হৃদকম্প সৃষ্টি,
জারুল গাছের উঁচু ডালে চলে যাচ্ছে দৃষ্টি।
কোকিল কণ্ঠ ভেসে আসায় শান্ত হচ্ছে মন,
মন জুড়ানো শ্যমল প্রান্তে আছি যতোক্ষণ।


চা বাগানের টিলা যেনো খাঁজকাটা হিরা,
হলুদ বর্ণের আনারসে পুরো টিলা ঘিরা।
টিলার গোড়ায় সারি করে পাতি লেবু চাষ।
বাগান জুড়ে জনগোষ্ঠীর নেই বসবাস।


ক্লান্ত মনে এসে গেলেই ফুটে উঠে হাসি,
মনের দুয়ার খুলে দেয় কৃষ্টি অবিনাশী।
স্নিগ্ধ ছায়ায় সবুজ প্রান্ত শান্ত ঝলমল,
সোনার দেশ বাংলা মায়ে এই শ্রীমঙ্গল।