সমাজটাতে অধঃপতন মূলে কিন্তু অর্থ,
শ্রেষ্ঠত্বটা ধরে রাখতে অর্থে কিনে স্বার্থ।
          অর্থ দিয়ে স্বার্থ কিনে
          জুয়াড়িরা অর্থ চিনে
অর্থের মালিক কোন কাজে চায় না হতে ব্যর্থ।


অর্থহীনরাই এ সমাজে শোষণ বঞ্চনায়,
যেটুকু আছে অর্থাভাবেই তাও চলে যায়।
          অভাব যখন ডাকে
          অর্থলোভী চেয়ে থাকে
গরীব লোককে দায়ে ফেলে ভিটে বাড়ি খায়।


পেটের দায়ে গরীব করে মহাজনের লগ্নি,
বিপদ আছে বুঝেশুনেও মুখে তুলে অগ্নি।
          সুদেমূলে লগ্নি তোলে
          ভিটে বাড়ি শিকেয় ঝুলে
সব হারিয়ে মুষড়ে পড়ে সব ভাই ও ভগ্নি।


মহাজনরা সমাজটাকে অস্থির করে দেয়,
দুর্বল লোকের গলা টিপে সবই কেড়ে নেয়।
          অর্থলগ্নি দ্বিগুণ হয়
          ধারকর্জ শোধের ভয়
কাঁথা কম্বল সবই যায় পেটের ক্ষিধেয়।


বিপদ যখন ঘাড়ে আসে ফণা তুলে লোভ,
মহাজনের লোভ আগুনে সে যে দেয় ডুব।
          ফণা এসে ঘাড়ে বসে
          নিঃস্ব হয়ে ফিরে হুশে
এখন আর সম্বল নাই শুধুই তার ক্ষোভ।


এমন দৃশ্য চক্ষু মেলে কেনো দেখে যাই?
গরীব যারা তাদের জন্য কিছু করা চাই।
          সবাই যদি কথা বলি
          গণজোয়ার গড়ে তুলি
গরীব লোক পুড়ে পুড়ে কেনো হবে ছাই ?