বালু নদী পূর্ণ হলে বর্ষার জলে জলে,
কূল ভেসে তার স্রোত শীতলক্ষ্যায় মিলে।
             ছোট এই বালু নদী
             বয়ে চলে নিরবধি
গতিসীমা বৃদ্ধি পায় স্রোতের তালে তালে।


স্রোত ঠেলে বালু নদী যত জল ঢালে,
স্রোতে পাগল শীতলক্ষ্যা তত জল গিলে।
            নেমে আসা সব জল
            শীতলক্ষ্যার পদতল
শাখা নদীর জল এসে মিশে তার জলে।


জল পেয়ে বালু নদীর ফিরে আসে গতি,
যত জল তত ঢালে এটা তার নীতি।
             স্রোত লাগে দুই তীরে
             বাঁক খেয়ে চলে ঘুরে
বর্ষাকালে স্রোতের গতি জাগে মনে ভীতি।


বর্ষা শেষে শুকায় নদী হাঁটু জল থাকে,
মাছের জন্য জাল ফেলে নদীর বাঁকে বাঁকে।
             হাঁটু জলে হেঁটে নেমে
             বাঁক দেখে থেমে থেমে
দলবেঁধে মাছ ধরে জালে জল ছাঁকে।


কচুরিপানা জমা করে জালে ঘের দেয়,
জলের মাছ দলে দলে ঘেরে স্থান পায়।
             ঘের থেকে ধরে ধরে
             মাছ নেয় ঘরে ঘরে
ডিমওয়ালা মাছগুলো জলে ছেড়ে যায়।


বৈশাখ মাসে বৃষ্টি হলে জল যখন বাড়ে,
ডিমওয়ালা মাছগুলো তখন ডিম ছাড়ে।
              আষাঢ়ের খাড়া ঢল
              বেড়ে চলে নদীর জল
পূর্ণ মাত্রায় বর্ষা এলে বালু নদী ভরে।