মেঘের ভেলা ছুঁয়ে দেখতে যাদের মনে চায়,
চিম্বুক থেকে নীল আকাশ কাছে পাওয়া যায়।
হাতের কাছেই ভেসে যায় সাদা মেঘের ভেলা,
করতে পারো মেঘের ভেলা ছুঁয়ে দেখার খেলা।
চিম্বুক পাহাড় দেখার জন্য যাও বান্দরবান,
পাহাড় চূড়ায় চড়ার জন্য লাগে মনের টান।


এখন দেখি এই পাহাড়ে গাড়ির চাকা ঘুরে,
চূড়ায় উঠে দাঁড়ায় গাড়ি তিন রাস্তার মোড়ে।
পাহাড় চূড়ায় তিন রাস্তা ভেবেই শান্তি পাই,
গাড়ি নিয়েই চূড়ায় উঠি যখন আমি যাই।
চান্দের গড়ির খোলা গা হাওয়া কেটে উঠে,
চাকার ভরেই দ্রুতবেগে উপর দিকে ছুটে।


চূড়ায় উঠে ঠায় দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখি,
নীল আঁচলে মনের মাঝে চূড়ার ছবি আঁকি।
চিম্বুক চূড়ার আঁচলখানি নিচের দিকে ঢালু,
মেঘ আকাশে নীল ছায়ায় আঁচল নীল হলো।
নীল আঁচল নিচের দিকে গড়িয়ে গিয়ে নামা,
ঢেউ খেলানো আঁচলখানি গোড়ায় গিয়ে থামা।


দূর পাহাড়ে দূর আকাশ নিচে নেমে আসছে,
মেঘের ভেলা পাহাড় ঘেঁষা সাদা হয়ে ভাসছে।
গাছের পাতা কুঁকড়ে আছে সাদায় ঢাকা পড়ে,
পাতার নিচে ডালপালায় মেঘেরা হাত ধরে।
নীল আঁচলে মেঘের ভেলা গাছে ধাক্কা খায়,
মেঘের ভেলার জল ঝরে গড়িয়ে নিচে যায়।


উঠে গেলে চিম্বুক চূড়ায় মনের পালকি দোলে,
পালকি দোলে মন আনন্দে তার দরজা খুলে।
চিম্বুক চূড়ায় যে'জন যায় তাকে ভোলা দায়,
হৃদয় অন্তর ভরে নিতে মেঘের ছোঁয়া পায়।
বান্দরবানের চিম্বুক চূড়া যারাই দেখতে আসে,
নীলাভ রঙটা গায়ে মেখে সুখ সাগরে ভাসে।