পাল উড়িয়ে চলে নৌকা শান্ত মাঝি ভাই,
নদীমাতৃক বাংলাদেশে দেখে শান্তি পাই।
ছোট নদীর জলে দেখা নৌকাখানি চলে,
পাড়ে থাকা কাশবনের কাশফুল দোলে।
টলটলা স্রোতের জলে পালের নৌকা যায়,
হাওয়া লেগে চলে নৌকা মাঝি গান গায়।


নদীর জলে চলে নৌকা নামছে রূপের ঢল,
রূপ দেখে মনটা কাড়ে টলটলানো জল।
চলে নৌকা স্রোতের জলে কাশবনের পাশে,
নদীমাতৃক বাংলা মাকে সবাই ভালোবাসে।
পড়ে না তো চোখের পলক ঝলক ফুটে উঠে,
নদীর জলে ছোট নৌকা স্রোতের টানে ছুটে।


বাংলা মায়ের প্রকৃতিটা প্রাণে নাড়া খায়,
মাঝি ভাই মন আনন্দে বাংলা গান গায়।
জলের ধারে কমল ফুটে রূপে আগুন জ্বলে,
বাংলা মায়ের প্রকৃতিটা সোনায় মোড়া বলে।
সৌন্দর্যটা বাড়িয়ে তুলে পালের নৌকা এসে,
মাঝি ভাইকে সালাম দেয় জল কমল হেসে।


নদীর জল হৃদয় কাড়ে ভরা বর্ষা ধরে,
কাশবাগে ঢেউটা উঠে পাশে নদীর চরে।
কাশফুল দোলায় মন গানের সুরে সুরে,
পালের নৌকা ধেয়ে চলে তার অনতি দূরে।
সান্ধ্য হাওয়ায় ছুটে আসে বাঁশির সুর কানে,
প্রাণে জোয়ার উজাড় করে শুনি আনমনে।


স্বর্গ থেকেই শক্তি এসে প্রাণে স্পন্দন ফিরে,
ভালোবাসার স্বর্গরাজ্য বাংলা মাকে ঘিরে।
ছোট নদীর স্রোতের বাঁকে দৃষ্টি যখন যায়,
জলের রূপ চোখে মেখে চোখ ফিরানো দায়।
রূপের বাহার পাগল করে সারাবছর ধরে,
বাংলা মায়ের সব রূপ গ্রাম বাংলার ঘরে।