কাঁঠালের দুই রূপ খাজা আরা গালা,
কাছে গেলে কাঁঠালের মুখে উঠে লালা।
ভাতে মাছেই বাঙালী সেইসাথে ফল,
বৈশাখ শুরু হলেই বাড়ে কোলাহল ।


জোর পাল্লা শুরু হয় গরম আর ঘ্রাণে,
গ্রীষ্মের গরম যেন কাঁঠালেই আনে।
আগ্রহটা তুঙ্গে তুলে পাকা ফল ছোলা,
ঝটপট খেয়ে নিতে প্রাণে লাগে দোলা।


গ্রীষ্মকাল শুরু হলে বাঙালীর খানা,
প্রাণে আনে প্রশান্তি কাঁঠালের দানা।
খাজা থেকে স্বাদ ঘ্রাণ গালাতেই বেশি,
মুখে শুধু স্বাদ নয় গড়ে হাড় পেশী।


ক্যারোটিন বেশি পায় গরমের ফলে,
সারা মুখ ভেসে যায় জিহ্বার জলে।
আমিষ আর শর্করা অতি পুষ্টিগুণে,
মজা আনে কাঁঠালের শাঁস আর নুনে।


খাজা গালা কাঁঠালের বারি আর বাউ,
জল চর্বি খাদ্যশক্তি আছে কিন্তু তাও।
যতো খাই সেইসাথে ভিটামিনও পাই,
সারা গায়ে ক্যারোটিন বাড়ে সাঁই-সাঁই।


বাঙালীর ঘরে ঘরে গ্রীষ্মের এ ফল,
মন প্রাণ ভরে দেয় ফলে থাকা জল।
কাঁঠালের যতো গুণ একসাথে পাই,
এতো গুণ একসাথে অন্য ফলে নাই।


এই ফলের গুণাগুণ সেইসাথে ঘ্রাণ,
তাতে যেন মিশে আছে বাঙালীর প্রাণ।
এটা নিয়ে গর্ববোধ এ জাতির আছে,
সব ফল হেরে যায় কাঁঠালের কাছে।