এই দেখি অন্ধকার এই ঠাঁসা রোদ,
বৃষ্টি হলে গরমের হবে ঋণ শোধ।
আকাশের গায়ে আজ দেখি সাদা জল,
ছোট ছোট ভেলা হয়ে উড়ে চলে দল।


জল ছাড়া খাল-বিল ফেটে চৌঁচির,
জ্বালা নিয়ে চাষীভাই করে বিড়বিড়।
কৃষকেরা চেয়ে আছে আকাশের গায়,
ফেটে উঠা খাল-বিল যেন ভরে যায়।


বোরোধান কেটেকুটে মনে দুরুদুরু,
জল পেলে পুনরায় চাষাবাদ শুরু।
মেঘ দেখে কৃষকের জাগে ক্ষীণ আশা,
চাষযোগ্য জমিটুকু তার ভালোবাসা।


কৃষকেরা আশা করে মেঘ থেকে জল,
জল পেলে মাঠেঘাটে বাড়ে কোলাহল।
ফসলের মাঠ দেখে ফুটে উঠে হাসি,
চাষীভাই জল পেলে খুশি রাশিরাশি।


বর্ষার জল এসে খাল-বিল ভরে,
জাল নিয়ে চাষীভাই ছোট মাছ ধরে।
ঘামঝরা শ্রম দিয়ে খেটেখুটে খায়,
খাদি কুলা কৃষকের ঘরে শোভা পায়।


বাগানের চারাগাছে ঝুলে আছে আম,
মেঘবৃষ্টি ভালো হলে পাকে আম জাম।
ফসলের মাঠ থেকে তুলে খড় ভুসি,
পশুপাল খেয়ে বাঁচে চাষীভাই খুশি।


চাষীভাই চাষ করে টেনে যায় ঘানি,
গায়ে খেটে শ্রম দিয়ে জুটে দানাপানি।
মাঠ ভরা ফসলের নেয় দায়ভার,
ফসলের ক্ষতি হলে দায় শুধু তার।


পরিমিত জল পেলে ফুটে উঠে ফুল,
আশাহত কৃষকের ভেঙ্গে যায় ভুল।
আকাশের মেঘ দেখে আসে বুকে বল,
মেঘ থেকে তার চাই পরিমিত জল।


পেট ভরে ভাত রুটি খাই রোজরোজ,
কৃষকের ঘাড়ে চড়ে করি ভূড়িভোজ।
জুড়ে থাকে যার গায়ে শহরের ছায়া,
কৃষকের কায়া দেখে যেন থাকে মায়া।


কাজ করে কৃষকের কেটে যায় বেলা,
বাংলার মাঠ ভরা ফসলের মেলা।
আম জাম ধান গম হয় তিল তিসি,
কৃষকের শ্রমে গড়া বাংলার কৃষি।