হুট করে বেড়ে যায় বাতাসের জোর,
সাদা মেঘ উড়ে উড়ে যায় বহুদূর।
ঠাস করে বাজ পড়া ডাক দিয়ে যায়,
পথেঘাটে জনগণ শুনে ভয় পায়।


জলকণা উড়ে যায় দিয়ে যায় ছায়া,
বর্ষার রূপ দিতে কেনো জানি মায়া।
এভাবেই বৈশাখ আধাআধি গেলো,
দূরে সরে জলকণা কি এমন পেলো?


মানুষের এখনো যে আছে হাহাকার,
মেঘ গলে কবে জানি ভরে জলাধার।
সাদা জল নিচে নয় আকাশের গায়,
ঝিরিঝিরি পড়া ছাড়া উড়ে শোভা পায়।


বৈশাখের রূপ রস ফুটে উঠে নাই,
জল ছাড়া বাতাসের শুধু সাঁই-সাঁই।
এখনো যে ছুটে চলে চৈতালি হাওয়া,
কণামাত্র তাতে নেই বৈশাখী ধাওয়া।


মাঠঘাট ফেটে গেছে কড়া রোদ আঁচে,
মাটিগুলো রয়ে গেছে চৌচির ধাঁচে।
মেঘ থেকে গুড়িগুড়ি পড়ে যদি জল,
ফসলের জমি ঘিরে বাড়ে কোলাহল।


জল ছাড়া মাঝে মাঝে বাতাসের ঝাড়ি,
ঝাড়ি শেষে পুনরায় আকাশেই পাড়ি।
মেঘ থেকে কবে নামে বাদলের মুখ,
মুছে যাবে হাহাকার শেষ হবে শোক?