ছোট ছোট টিলা বেয়ে হেঁটে যাই উঠে,
শ্যামল গাঁয়ের সুখ নেই ঘেটেঘুটে।
গায়ে আনে শিহরণ কি দারুণ লাগে,
দেহ নয় প্রীত মন ছুটে আগেভাগে।


ভুলে যাই কত দূর পাহাড়ের চূড়া,
সবুজের সমারোহ খাঁজকাটা মোড়া।
ছোট ছোট কচি পাতা চেয়ে থাকে রোজ,
পাতি কাঁধে শ্রমিকেরা রাখে তার খোঁজ।


কচি পাতা বোঁটা ছিঁড়ে তুলে দিনভর,
চা বাগানমুখি তার পাশে ছোট ঘর।
পাতা তুলে জমা দেয় মালিকের কাছে,
সারাদিন গায়ে খেটে পেটে ভাতে বাঁচে।


মালিকেরা আসে যায় শ্যামল ছায়ায়,
মন ভরে সুখ নেয় মাধুরি মায়ায়।
দামী দামী জুতা পড়ে ফুলবাবু হাঁটে,
বাগানের মোড় ঘুরে মনে রঙ বাটে।


শ্রমিকের কারুকাজ চেয়ে দেখে যায়,
ঘামঝরা শ্রম দেখে আনন্দ পায়।
দিন শেষে কত পেলো রাখে নাতো খোঁজ,
মোটা ভাত পাতে তুলে নেই প্রীতিভোজ।


শ্রমিক মালিক যত বৈষম্য আছে,
শাসন করেই তাকে মালিকেরা বাঁচে।
লাভটুকু সব যায় মালিকের নীড়ে,
টাকার পাহাড় গড়ে চা বাগান ঘিরে।