মেঘ নেই ছায়া নেই গায়ে নেই বল,
পিপাসায় বারেবারে খেতে চাই জল।
খরতাপ মনটাকে বিষন্ন রাখে,
জল পান শেষ হলে পিপাসাটা থাকে।


গরমের রাহুচালে স্কুলঘর খালি,
মাঝখানে ফাঁকা মাঠে উড়ে ধূলাবালি।
স্কুল গেটে আজ কোন কলরব নাই,
মাঠ জুড়ে ঘাসগুলো পুড়ে হলো ছাই।


সারাদিন ছুটাছুটি কই গেলো আজ,
পাঠদানে স্থবিরতা গরমের কাজ।
সুনসান ঝুলে আছে পিতলের বেল,
তার গায়ে আজ নেই হাতুড়ির খেল।


হাহুতাশি গরমের মহা কারুকাজ,
নিয়মিত পাঠদান বিঘ্নিত আজ।
গরমের এতো তেজ ঘরে থাকা দায়,
কুনোব্যাঙ ডাক তুলে সেও গীত গায়।


অসহ্য গরমটা চলে অবিরাম,
গোসলের রূপ নেয় ফোঁটা ফোঁটা ঘাম।
আর ক'টা দিন যদি এভাবেই যায়,
ভাবনাটা জেগে উঠে লাগে অসহায়।


সারি সারি ক্লাসরুম পড়ে আছে ফাঁকা,
ধূসরিত পরিবেশ গরমের আঁকা।
হাতুড়ি পিটিয়ে বেলে শুরু শেষ যার,
স্কুলবেল টুন টুন বাজে নাতো আর।


স্কুলগামী ছেলেমেয়ে আবদ্ধ ঘরে,
দলবেঁধে স্কুলে যেতে হাহুতাশ করে।
গরমের দোলাচালে উপোস মনটা,
সেই কবে বেজেছিলো ছুটির ঘণ্টা।