আজকালের ছেলেমেয়ে শহর জুড়ে ঘুরে,
পিতৃকুল দোলনচলে থাকে অনেক দূরে।
কোথায় তার পিতৃকুল তার খবর নাই,
বাড়ি যেতে উত্তর দেয় দাদার বাড়ি যাই।
নিজের বাড়ি ভুলে গিয়ে দাদার বাড়ি বলে,
পরিচয়ে বাবার নামটা না বললেও চলে।


দূরে থেকে সারাবছর বাড়ি শুধু ঠিকানা,
কাদের নিয়ে তার পাড়া সব তার অজানা।
প্রতিবেশীর কাছে তারা ভিনদেশীর মতো,
সম্পর্কহীন প্রতিবেশী আছে তাদের যতো।
শহর ছেড়ে নিজ বাড়িতে হঠাৎ দেখা যায়,
দাদা-দাদীর ইন্তেকালে চেনায় বাবা-মায়।


যৎসামান্য দেখা দিয়ে ফের জমায় পাড়ি,
টাটা দিয়েই শেষ করে ছেড়ে আসায় গাড়ি।
বড়ো হয়ে আবার যদি নিজের বাড়ি আসে,
দীর্ঘদিন দূরে থাকায় অচেনা রূপ ভাসে।
প্রতিবেশীর কাছে তারা এসে যদি দাঁড়ায়,
যুগ কাল পেরিয়ে গিয়ে পরিচয়টা হারায়।


গাঁওগেরামে নিজ দেশে ডেকে তাদের এনে,
পাড়ার লোক কাছে গিয়ে নতুনভাবে চেনে।
কোথায় আছে জমাজমি তার খবর নেয়,
জমাজমি উদ্ধার করতে অনেক হয় ব্যয়।
পরের হাতে নিজ জমির দখল চলে যায়,
দখল হওয়া জমিজমা উদ্ধার করা দায়।


ভূসম্পত্তি পরের হাতে নিজ বাড়িতেই ভয়,
নামমাত্র দামে তখন ছেড়ে আসতে হয়।
আয়রে আয় শহরবাসী নাড়ির টানে ঘরে,
খবর নিতে প্রতিবেশীর সারাবছর ধরে।
পাড়া পড়শীর খোঁজ নিয়ে সুসম্পর্ক রাখো,
পদ পরিচয় ঠিক রেখে মিলেমিশে থাকো।