জাল নিয়ে বেড়িয়ে যেতাম মাছ ধরার ছলে,
মামার বাড়ি কতো যেতাম ডালিম খাবো বলে।
বাড়ির পাশে ডালিম ফল থোকা থোকায় ঝুলে,
দোআঁশ মাটির চারা গাছে অনেক বেশি ফলে।
দেখতে গোল মোটা চামড়া ভেতর লাল ফল,
রসে ভর্তি ডালিম খেলে বাড়ে গায়ের বল।

ফলের খোসা ছাড়িয়ে নিলে জমাট বাঁধা বিচি,
লালে লাল রসে ভরপুর দেখেই আসে রুচি।
রক্তলাল ও মিষ্টি মধুর রসেই ঠাসা টলমল,
চামড়া খুলে হাতে নিলেই আসবে জিভে জল।

সবার প্রিয় ডালিম ফল সারা দেশেই হয়,
ডালিম ফল নিজের গুণে করেছে মন জয়।
পুষ্টিগুণে ডালিম ফলের বাজার দর বেশি,
কম খেটে লাভের আাশায় তাই তো বুনে চাষি।
গুণে ভরপুর দেশি ফল যখন নিতে আসি,
অধিক দামে বেচে যাওয়া চাষি ভাইও খুশি।

পুষ্টিগুণ আর ঔষধিগুণ দুটোই তার আছে,
পাইকার এসে ঘুরে যায় যখন থাকে গাছে।
থোকা থোকায় পাকা ডালিম গাছের শাখা ভরা,
মাথার কাছের নিচু ডালে ঝুলে ডালিম ছড়া।

রোগবালাইয়ে কাজে লাগে এই ফলের কোষ,
ঘরে ঘরেই তৈরি হয় ডালিম জ্যাম ও জুস।
পুষ্টি ছাড়াও ডালিম ফলে ভিটামিনও থাকে,
রোগবালাই দেখা দিলেই হাতের কাছে রাখে।
সকল ফলের উপযুক্ত আমার দেশের মাটি,
তাই তো বলি দেশের মাটি সোনার চেয়ে খাঁটি।

নিজ দেশের মাটির কোলে যখন থাকি নীড়ে,
বাড়ির পাশে উঠোন থাক ডালিম গাছে ঘিরে।
নিজ চাহিদা পূরণ করে বাড়তি আয় হয়,
স্বাদে গন্ধেই ডালিম করে সবার মন জয়।