নারিকেল গাছের শিকড় দেখে, উঁচু উঁচু ঢেউ,
যখন জলে জোয়ার আসে, থাকে না আর কেউ।  
হালকা জোয়ার দেখার পর, আগন্তুকরা ছুটে,
পূর্ণ জোয়ার আসার আগেই, মূল দ্বীপেতে উঠে।
সারি সারি নারিকেল গাছ, দাঁড়িয়ে থাকে অক্ষত,
এজন্যই দারুচিনি দীপ, সেন্টমার্টিন এ বিখ্যাত।

সেন্টমার্টিনের দক্ষিণাংশে, ছেঁড়া ছেঁড়া প্রবাল,
যখন প্রবাল জেগে উঠে, গায়ে থাকে শৈবাল।
আন্দামানের ঢেউ এসে, দারুচিনিতে মিশে,
সুউচ্চ ঢেউয়ের ধাক্কায়, প্রবালে শৈবাল পিষে।
প্রবালের ধার শৈবাল কমায়, পাড়া দেয়া যায়,
তাইতো সবাই ভ্রমণে এসে, এখানে মজা পায়।

দারুচিনির মূল বৈশিষ্ট্য, উত্তরমুখী হাওয়া,
ঢেউয়ের গতি হাওয়ায় বেড়ে,ধাক্কা দিয়ে যাওয়া।
উঁচু উঁচু ঢেউ আছড়ায়, প্রবাল ছানার মাথায়,
আগন্তুকদের মন রাঙিয়ে, ঢুকে স্মৃতির পাতায়।
প্রবাল ছানা ঢেউয়ে ভাসে, বড় প্রবাল থাকে,
ভাটার টানে বড় প্রবাল, মাথা উঁচিয়ে রাখে।

সাগর জলের শীতল হাওয়া, সবচেয়ে বেশি টানে,
দারুচিনি দ্বীপ আগন্তুকদের, এখানে টেনে আনে।
জলের হাওয়া ডাঙ্গায় লেগে, উপর দিকে উঠে,
শীতল হাওয়ায় মর্মর শব্দে,  নারকেল পাতা ছুটে।
আন্দামানের হাওয়া খায়, নারিকেল জিঞ্জিরায়,
তাইতো এতো ভ্রমণ পিপাসু, দারুচিনি দ্বীপে যায়।

সেন্টমার্টিনের একাংশকে, দারুচিনি দ্বীপ ডাকে,
ভ্রমণকারীদের টেনে নিয়ে, দক্ষিণাংশে রাখে।
ভারত সাগর পাড়ি দেয়া, ঢেউয়ের নাচন দেখে,
সবার মনটা ভরিয়ে দেয়, হৃদয়ে ছবি এঁকে।
ধারণ ক্ষমতা অগ্রাহ্য করে, দ্বীপ দর্শনে আসছে,
বসন্ত বেলায় প্রতিটা দিন, জনচাপে ভাসছে।