সাগর তীরে ঘোলা জল মিলে মোহনায়,
পদ্মা মেঘনা ব্রহ্মপুত্র ঘেঁষে পাক খায়।
তিন নদীর পলি জমে ভরে জলাধার,
ধীরে ধীরেই বেড়ে উঠে ব-দ্বীপের ভার।


দৃশ্যমান দ্বীপে যখন গাছপালা ভরে,
বর্গী এসে বসত গড়ে জেগে উঠা চরে।
আশপাশের জলদস্যু দ্বীপে ঠাঁই নেয়,
জনমনে হিংস্রতার বিষে ভরে দেয়।


পরাণ মাঝি ভোলা গাজী দ্বীপচরে আসে,
নদী তীরে বসত গড়ে খেয়া নিয়ে ভাসে।
মুক্তমনা ভোলা গাজীর পারাপারে মন,
বেতুয়ার এপাড় ওপাড় আসে জনগণ।


নামহীন এই দ্বীপের প্রসারণ ঘটে,
দ্বীপান্তরে ভোলা গাজী জনপ্রিয় বটে।
জনরোষে বর্গীরা সব বানে ভেসে যায়,
দখলদার জলদস্যু বড় ধাক্কা খায়।


এখন আর চর নাই জনাকীর্ণ দ্বীপ,
জনগণের পদভারে নাই সরীসৃপ।
সভ্যতার নিশান উড়ে ধীরে ধীরে চরে,
নাম রাখার কলরব উঠে ঘরে ঘরে।


দ্বীপের বুকে বনফুল ফুটে উঠে তটে,
সাগর দ্বীপে ততোদিনে ভোলা নাম রটে।
জেগে উঠা দ্বীপ চরের চারিদিকে খোলা,
ভোলা গাজীর দ্বীপ বলে নাম রাখে ভোলা।