বানায় জিনিস বানায় ঘর আমায় কেটেকুটে,
কাঠুরিয়া লাকড়ি বানায় মাথায় নিয়ে ছুটে।
রাঁধুনিরা জ্বালায় লাকড়ি পুড়েই করে ছাই,
একবারও তো ভাবেনা কেউ আমিও কষ্ট পাই।
আমারও  জীবন আছে,
যেভাবে সব মানুষ বাঁচে?
দুঃখ নিয়ে আমিও বলি আমি বাঁচতে চাই,
কাটার ভয়টা ভুলে গিয়ে পরিবেশ বাঁচাই।


হাজার কষ্টে গাছটি বলে আমার কথা শোন,
পাতায় ছাঁটো গোড়ায় কাটো আপন ঘর বুন।
তোমার ভয়ে নীরবে আমি চোখের জল ফেলি,
কুঠার নিয়ে কাটবে তুমি করবে ফালিফালি।
ভয়ে মন থরথর করে,
চোখের জলও ঝরে।
আরামদায়ক তোমার কাজে ছায়ায় ঢেকে রাখি,
আমারও কি চায় না মনে তোমার মতো থাকি ?


কার্বন টেনে বাঁচাই আমি করি কতো উপকার,
অক্সিজেনটা তোমায় দেই তবু তুমি নির্বিকার।
একা থাকতেও ভয় নাই, থাকি একা নির্জনে,
তোমার কাজেই লাগি আমি দাঁড়িয়ে স্থির মনে।
ফিরাই আমি ঝড়-তুফান,
বাঁচাই আমি তোমার প্রাণ।
তোমাকে দেই ফুল ও ফল বাঁচার জন্য লাগে,
সাজাও বাড়ি সাজাও ঘর মন-আনন্দ জাগে।


তাই তো বলি আমার কথা, আমার যত্ন করো,
কেটে ফেলার ভাবনা ছেড়ে নরম হাতে ধরো।
আমায় যদি বাঁচিয়ে রাখো সুখে তুমি থাকবে,
মজাদার সব ফল খেয়ে মনে আশা জাগবে।
ফুলে ফলে ভরে রাখবো,
তোমারই পাশে থাকবো।
আমি বাঁচলে আমার গুণে নির্মল বায়ু পাবে,
আমার সাথে হেসেখেলেই সারা জীবন যাবে।