আজ হেমন্ত গগন শান্ত ক্লান্তি করে দূর,
শিশির ভেজা দূর্বাঘাস ভোর সুমধুর।
দূর্বাঘাসে আলো পড়ে
ঊষালগ্নে মুক্তা ঝরে
পূর্বাকাশটা রঙিন করে পরেছে সিঁদুর।


হেমন্তকাল শিশির এনে বাজে মনে বীণ,
অঝোরে তাই তুষার ঝরে করে নিদ্রাহীন।
আলোড়ন সৃষ্টি করে
দূর্বাঘাস জলে ভরে
মন আমার পাগল করে রসনা বিহীন।


শিশির ভেজা ঘাসে যখন পড়ে ভোরে আলো,
মনের ক্লান্তি সরিয়ে দিয়ে তাড়ায় এলোমেলো।
মনে সুখ ভেসে যায়
ক্লান্ত মন শান্তি পায়
যতোটা শান্তিই মনে চায় পূর্ণ করে নিলো।


হেমন্তের এই ভোর এসে দেয় মনে দোল,
শিশির ঝরেই ফুটে উঠে মনে বনফুল।
হিমেল হাওয়া লাগে
সুরের চরণ জাগে
জেগে উঠে সবার আগে কুড়াতে বকুল।


দূর্বাঘাসে শিশির দেখেই ভরে মন প্রাণ,
হৃদয় কোণে নাচন আনে ভাটিয়ালি গান।
বাসা থেকে দলে দলে
পাখি সব উড়ে চলে
মাথার উপর পাখা মেলে হয় বেগবান।


গাছে গাছে বকুল শিমুল ফুটে উঠে রোজ,
ফুলের মধু পাখিরা খেয়ে করে প্রীতিভোজ।
কাক কোকিল ডালে বসে
পেটটা ভরে মধুর রসে
মধুর খোঁজে বেড়ায় চষে রাখে মধুর খোঁজ।