হেমন্তের ভোর যেন লাগে সুমধুর,
শিশিরের কণা পড়ে মনে বাজে সুর।
ভোর রাতে ছুটে আসে শিশিরের জল,
ফোঁটা ফোঁটা ঝরে ঝরে করে সুশীতল।


শুরু হলো শিশিরের ভোরে আনাগোনা,
হেমন্ত শিশির দানা আছে জানাশোনা।
শিশিরের জল কণা মাটি ঘেঁষে ঝরে,
ঝরে ঝরে কণাগুলো ঘাস পাতা ভরে।


চেয়ে থাকে দূর্বা ঘাস আকাশের গায়,
শিশিরের ছোঁয়া নিয়ে সজীবতা পায়।
ঘাসগুলো নেচে উঠে হয় চঞ্চল,
খড়ি মাটি ভিজে উঠে বাড়ে তার বল।


ভোরের শিশির লেগে জেগে উঠে ঘাস,
সুশীতল বায়ু পেয়ে যায় হাহুতাশ।
ঘাসে লাগা শিশিরের পাতা ভেজা জল,
সকালের মিঠা রোদে করে ঝলমল।


রবি এসে সব জল টেনে নিয়ে যায়,
যতটুকু নিচে পড়ে মাটি চুষে খায়।
ঘাসগুলো সেই রস মূলে টেনে তুলে,
মাটি থেকে রস টেনে হয় তুলতুলে।


ভেজা ঘাসে মন যায় শিশিরের টানে,
প্রাণ আনে জল কণা কাঁচা পাকা ধানে।
এমন মধুর দিনে ভোরে হাঁটাহাঁটি,
শিশিরেই মন ভরে করে পরিপাটি।