কড়া রোদ চড়া হলে দূরে সরে যায়,
দিন শেষে রাত হলে মুখ ফিরে চায়।
ঈশানের বায়ু এসে কানে কানে বলে,
কড়া নাড়ে হিম বায়ু শেষ রাত হলে।


নোঙ্গর তুলে চলে মুখে নিয়ে হাসি,
হিম বায়ু ডেকে বলে এই তবে আসি।
বছরের দশ মাস সে যে থাকে দূরে,
দুই মাস গায়ে ঘেঁষে কম্বল কুঁড়ে।


হেমন্ত ডানা মেলে শীতে টান লাগে,
কম্বল মুড়ি দিতে মনে সাধ জাগে।
শিশিরের কণাগুলো ছুটে আসে রাতে,
ভোর রাতে ছোঁয়া লাগে হেঁটে ফুটপাতে।


রাত শেষে হিম বায়ু লাগে সুশীতল,
ভোর হলে ভেজা ঘাস করে ঝলমল।
শিশিরের জল পেয়ে ঘাসগুলো হাসে,
পাতাগুলো মেলে ধরে আনন্দে ভাসে।


হেমন্তে সাঁঝ বেলা ঘাসে ফুটে ফুল,
ঘাস ভরা ফুল দেখে নাচে বুলবুল।
ঝাউবন থেকে শুনি কোকিলের গান,
হিম হিম সাঁঝ বেলা বিধাতার দান।


মেঘহীন মনোরম দিবানিশি ভোর,
নীলাকাশে হিম বায়ু করে ঘুরঘুর।
বার-বার মন যায় আকাশের গায়,
সুর তুলে হেমন্ত মনে দোল খায়।