শীত আর কুয়াশায় কড়া নাড়ে দ্বারে,
গায়ে পড়ে শ্বাস নেয় হেমন্তের ঘাড়ে।
বেলা গেলে শীত এসে করে ঘুরঘুর,
হেমন্তের বেজে গেলো বিদায়ের সুর।


সন্ধ্যাটা দেখে বলে আছি আমি কাছে,
সুশীতল বায়ু কণা পাখা মেলে নাচে।
রাত হলে শীতলতা দুয়োধ্বনি দেয়,
হিম হিম ভাব ছেড়ে দখলটা নেয়।


বাতাসের আদ্রতা উড়ে এসে জুড়ে,
ঘাড়ে এসে ঠুকা দেয় কান বেয়ে ঘুরে।
মাঝ রাতে কম্বলটা টেনে তুলে গায়,
হেমন্তের লাগামটা খুলে দিয়ে যায়।


শিশিরের জলকণা ঢেকে সারা নীড়,
কম্বলে হাওয়া ঢুকে করে শিরশির।
আদ্রতা ভোর রাতে শিহরণ আনে,
আগমনী শীত বার্তা দেয় কানে কানে।


হেমন্তের ছায়াপথ কেটে যেতে শুরু,
শীত বার্তা আঁচ করে মনে দুরুদুরু।
ভোর হলে রবি এসে বলে ইশারায়,
গরমের ছোঁয়া দিতে বেড়ে গেলো দায়।


রবির কদর বাড়ে পৌষ মাঘ মাসে,
মৃদু স্বরে রবি বলে আছি আমি পাশে।
কম্বলটা মুড়ি দিয়ে রাত করো পার,
সুধাময় রোদ আর অপেক্ষা ঊষার।